আশাশুনি অফিস।। আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের গাজীপুর মৌজায় মৎস্য ঘেরের বাঁধ কেটে ক্ষতিসাধন ও ঘেরের মাছ ধরে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার মহিষকুড় গ্রামের রফিকুল ইসলাম গাজীর ছেলে সেলিম গাজী বাদী হয়ে থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ ও বাদী জানান,গাজীপুর মৌজায় এক নং খতিয়ানে সাবেক ১১৩০ ও হাল ১০০১ নং দাগে ৫০ শতক জমি ডিসিার নিয়ে দীর্ঘকাল মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ করে ভোগদখলে আছেন। সর্বশেষ ২২/১০/২৪ তাং একসনা ইজারা কেস নং ১৪৮/১৪৩১ (মাছ চাষ) বাংলা ১৪৩১ সালের ডিসিআর গ্রহন করেন। বিবাদী মহিষকুড় গ্রামের মৃত হৃদয় গাইনের ছেলে নিহার ও দিলীপ গাইন স্থানীয় নেতা গণেশ গাইনের নেতৃত্বে মৎস্য ঘেরের জমিজমা জবর দখল করতে পায়তারা ও ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। ইতিমধ্যে ৭/৮ বার দলীয় দাপট দেখিয়ে জবর দখল ও মাছ লুটের ঘটনা ঘটানো হয়। স্থানীয় বা থানায় অভিযোগ করেও দলীয় নেতাদের শেল্টারের কারনে প্রতিকার পায়নি। সবশেষ গত ১২ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১.৩০ টার দিকে বাদীর মৎস্য ঘেরে অনাধিকার প্রবেশ করে বাঁধ কেটে দিয়ে অনুমান ৮ হাজার টাকার মত ক্ষতি সাধন করে। এবং অনুমান ৩০ হাজার টাকার সাদা ও চিংড়ী মাছ ধরে নেয়। বাদী জানতে পেরে বাধা নিষেধ করলে মারপিট ও খুন জখমের হুমকী দেয়। পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে এসআই আঃ রশিদ ঘটনাস্থানে গিয়ে সবকিছু দেখেন এবং পাশের লোকজনের কাছে শুনেবুঝে উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলেন। এ সময় বিএনপি নেতা শেখ আঃ রশিদ,যুবদল নেতা হাফিজুল ইসলাম,ডাঃ বিল্লাল হোসেনসহ অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নির্ধারিত প্রথম দিন বিবাদীরা থানায় উপস্থিত হয়নি। দ্বিতীয় দিন বিবাদীদের পক্ষে একজন মহিলা উপস্থিত হলেও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এবং তৃতীয় দিনে বিবাদীরা হাজির হয়নি উল্লেখ করে বাদী বলেন, থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আমার কাগজপত্র দেখে বৈধতা উপলব্ধি করে কাগজপত্র মোতাবেক ঘের শান্তিপূর্ণ ভাবে দখলে থাকারর কথা বলেছেন। বাদী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,সরকারি রাজস্ব দিয়ে ডিসিআর নিয়ে বৈধভাবে মাছ চাষ করার পর দলীয় প্রভাবের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এসেছি। অথচ আজকের দিনে আবারও সেই জবর দখলকারীদের রক্তচক্ষুর শিকার হবো ভাবতে পারিনা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের ন্যায় সংগত সহযোগিতা কমনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :