সঠিক যত্ন ও নিয়মিত চিকিৎসায় আর্থ্রাইটিসেও ভালো থাকা যায় আর্থ্রাইটিস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এটির জন্য দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে আক্রান্তকারীরা, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। আর্থ্রাইটিসের সঠিক যত্ন ও নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে এটির লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব।আর্থ্রাইটিস হলো এক ধরনের রোগ, যা শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি বা জোড়াকে প্রভাবিত করে। এটি মূলত সংযোগস্থলগুলোর প্রদাহ, ব্যথা, ফোলা এবং হাড়ের ক্ষয় সৃষ্টির জন্য পরিচিত।যে কারণে আর্থাইটিস হতে পারে যেমন, বয়স : বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অস্থিসন্ধির ক্ষয় ও হাড়ের ঘর্ষণ বেড়ে যায়, যা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের প্রধান কারণ।
► জেনেটিক ফ্যাক্টর : আর্থ্রাইটিস কিছুটা বংশগত হতে পারে। কিছু মানুষের শরীরে জিনগতভাবে এই রোগের ঝুঁকি বেশি।
► ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা : রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুলক্রমে নিজ অস্থিসন্ধিকে আক্রমণ করে।অতিরিক্ত ওজন : অতিরিক্ত ওজন অস্থিসন্ধির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা হাড় ও কার্টিলেজ ক্ষতি করে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।আঘাত : কোনো ধরনের গুরুতর আঘাত বা সংযোগস্থলের বারবার ক্ষতি অস্থিসন্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
► অতিরিক্ত ওজন : অতিরিক্ত ওজন অস্থিসন্ধির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা হাড় ও কার্টিলেজ ক্ষতি করে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
আর্থাইটিস এর সাধারণ যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় : জোড়ায় ব্যথা বা অস্বস্তি।
► জোড়া ফুলে যাওয়া।
► জোড়ার শক্ত হয়ে যাওয়া বা নড়াচড়া করতে সমস্যা।
► জোড়ার চারপাশে লালচে ভাব বা উত্তাপ অনুভব করা।
► সকালে ঘুম থেকে উঠার পর অস্থিসন্ধি শক্ত মনে হওয়া।আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা নির্ভর করে এটির ধরনের ওপর।
১. ওষুধ
► প্রদাহনাশক ও ব্যথানাশক ওষুধ : ইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন এবং অন্য নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ প্রদাহ কমাতে ও ব্যথা উপশম করতে ব্যবহৃত হয়।ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়াম
► হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম যেমন হাঁটাহাঁটি, সাঁতার, সাইক্লিং ইত্যাদি অস্থিসন্ধিকে শক্তিশালী ও নমনীয় রাখে। এ ছাড়া সুস্থ ওজন বজায় রাখলে অস্থিসন্ধিতে চাপ কমে।
৪. উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস
► ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাদ্য, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’সমৃদ্ধ খাবার হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে।আর্থাইটিস প্রতিরোধের উপায় :
► নিয়মিত ব্যায়াম করা।
► সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা।
► ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
► আঘাত থেকে অস্থিসন্ধি রক্ষা করা।
► দীর্ঘ সময় ধরে এক ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বিরত থাকা।