বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ বিগত জালিম সরকারের অধীনে যারা সিন্ডিকেট করেছিল সেই সিন্ডিকেট ভেঙে তছনছ করে দিন । তাদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন । মানুষকে স্বস্তি দিন । আজ বিকেলে ঝিনাইদহ উজির আলী স্কুল মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ শাখার আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে এ বক্তব্য দেন ।
তিনি আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশ তৈরীতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে । কোন ধরনের অনিয়ম. দূর্নিতী, স্বজনপ্রিতী, আধিপত্যবাদ কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না ।
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় আমীর তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যদি এই দেশে ইসলামী শাষন কায়েম করতে পারি তবে, কোন তরুন প্রজন্মরা বেকার থাকবে না । সবার হাতকে কর্মবন্ধব হাতে পরিণত করা হবে । আওয়ামীলীগ বলেছিল, তারা না থাকলে দেশে ৫ লাখ হত্যাকান্ড ঘটবে । কিছুই হয়নি সেই তুলনায় । মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতার ছিল তারা । নারীদের জন্য ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে । হযরত মুহাম্মদ সা. নারীদের নিয়ে যুদ্ধে গেছেন, বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নারীদের সাথে পরামর্শ করেছেন । আমরা অবশ্যই নারীদের সর্বোচ্চ সমম্মান দেবো ।
তিনি বলেন, যেভাবে ঝিনাইদহে শিবির ও জামায়াতের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে তার বিচার করা হবে । আমি এর আগেও ঝিনাইদহে একবার এসেছিলাম । শহীদ পরিবারের সাখে দেখা করতে । তখন আমাকে ১ মিনিটও সময় দেয় নাই ঐ সরকার । কি অত্যাচার, নির্যাতন করা হয়েছিল । তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো না ।
ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসিয়ে আমাদের ৭ জন জাতীয় পর্যায়ের জামায়াতের নেতাদেরকে হত্যা করেছে । ধৈর্য ধারণ করুন । এই বিজয় যেন চিরস্থায়ী হয় সে ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে । আওয়ামীলীগরা বসে নেই । তারা কিন্তু সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ব্যাপকভাবে মিথ্যা-গুজব রটাচ্ছে ।
কর্মী সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতে ইসলামের আমির আলী আজম মোঃ আবু বকর এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ মোঃ আবদুল হাই’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোঃ মোবারক হুসাইন, জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর আলী আজম মোঃ আবু বকরসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।