“অল্প সময়ে, স্বপ্ন খরচে, সঠিক বিচার পেতে, চলো যাই গ্রাম আদালতে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়নে কমিউনিটি রেডিও স্টাফদের দিন ব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বনানীতে হোটেল সারিনায় বিসিআরএ’র সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন ইউএনডিপি।
গ্রাম আদালত এর কর্মকাণ্ড সাধারন জনগনের দারপ্রান্তে পৌছাতে ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) এর আওতায় কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে গ্রাম আদালত ব্যবস্থায় জেন্ডার ও অন্তর্ভুক্তির প্রচার শিরোনামে দেশের ১৭টি কমিউনিটি রেডিওর স্টেশন ম্যানেজার ও অনুষ্ঠান প্রযোজকদের উক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট, ইউএনডিপি তানভীর মাহমুদ, জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়কারী, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইউএনডিপি বিভাষ চক্রবর্তী , প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেশন এনালিস্ট, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইউএনডিপি ড. শঙ্কর পাল, লিগ্যাল এক্সপার্ট, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইউএনডিপি মশিউর রহমান চৌধুরী , জেন্ডার এনালিস্ট, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইউএনডিপি শামীমা আক্তার শাম্মী , কমিউনিকেশন অ্যান্ড আউটরিচ এনালিস্ট, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইউএনডিপি সুমন ফ্রান্সিস গমেজ , কমিউনিকেশন অ্যাসোসিয়েট, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইউএনডিপি সোনিয়া ফারজানা, প্রকল্প সহকারী, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইউএনডিপি এইচ এম সোহেল রানা , বাংলাদেশ কমিউনিটি রেডিও অ্যাসোসিয়েশন (বিসিআরএ), সমন্বয়কারী,সুমিতা রবিদাস সহ আরো অনেকেই।
গ্রামে বসবাসরত সকল মানুষের রয়েছে গ্রাম আদালতের বিচার পাবার অধিকার, যেখানে নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যাক্তি সবাই এই বিচার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
লিগ্যাল এক্সপার্ট মশিউর রহমান চৌধুরী বলেন, গ্রাম আদালতে ২৭ প্রকারের মামলা নিষ্পত্তি করা হয়, যেখানে অনধিক তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত মামলার বিচার পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন গ্রামের ছোটখাটো মামলা উচ্চ পর্যায়ের আদালতে না করে গ্রাম আদালতে করলে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার পাওয়া সম্ভব।
১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এ ব্যবস্থা চালু হয়। এরপর গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ প্রণয়নের মাধ্যমে এ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হয়। এ আইনের মূল লক্ষই হলো স্থনীয়ভাবে স্বল্প সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা ।
তিনি আরো বলেন, ফৌজদারী মামলা: ১০ টাকা, দেওয়ানী মামলা: ২০ টাকা। এছাড়া আবেদনকারীর আর কোন খরচ নেই।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তায় কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ইউএনডিপি। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিডি), স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।